সকলেই সাবধান: শেখ হাসিনাকে নিয়ে নতুন ঘোষণা দিলো সরকার
শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার নির্দেশ অন্তর্বর্তী সরকারের
অন্তর্বর্তী সরকার দেশের সব গণমাধ্যমকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য বা অডিও প্রচার থেকে বিরত থাকতে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ধরনের কার্যকলাপ সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ অনুযায়ী গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
⚖️ আইনগত নিষেধাজ্ঞা ও পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত
শুক্রবার (২২ আগস্ট) সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আসামি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার আইনত নিষিদ্ধ।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও তার ঘৃণামূলক বক্তব্য সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল।
📢 গণমাধ্যমকে কঠোর সতর্কতা
অন্তর্বর্তী সরকার জানায়, দুঃখজনকভাবে কিছু গণমাধ্যম এখনও আইন ও আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য সম্প্রচার করছে।
সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে— ভবিষ্যতে কেউ যদি তার অডিও বা বক্তব্য প্রচার করে, তবে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
🚨 সরকারের অবস্থান
সরকারের মতে, শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে এবং সহিংসতা উসকে দিতে পারে।
জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত গণ-অভ্যুত্থানের সময় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগের পর তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছে।
⚖️ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
সরকারের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে এই দলের নেতাদের বক্তব্য বা কার্যক্রম প্রচার করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে বাধ্যতামূলক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
🕊️ সরকারের আহ্বান ও গণমাধ্যমের ভূমিকা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার পুনরায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে— দেশকে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে এগিয়ে নেওয়া হবে।
সরকার গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় সংবাদ পরিবেশনে সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতা বজায় রাখতে এবং ভিত্তিহীন বা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে
Comments
Post a Comment