সাবধান! এই ৯ ধরনের জমির নামজারি বন্ধ ঘোষণা
দেশে ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা ও অবৈধ নামজারি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৫ সাল থেকে ৯ ধরনের জমির নামজারি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বহু বছর ধরে জাল দলিল, রেকর্ডে অসঙ্গতি, কিংবা মামলা চলমান অবস্থায় অবৈধভাবে নামজারি হয়ে আসছিল। এতে সরকারি জমি, ওয়ারিশ সম্পত্তি এবং ভেস্টেড প্রপার্টি (শত্রু সম্পত্তি) নিয়ে ব্যাপক জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছিল। এসব অনিয়ম ঠেকাতে এবার কঠোর নজরদারির আওতায় এসেছে নামজারি প্রক্রিয়া।
ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন থেকে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী যদি অবৈধ কাগজপত্রে নামজারি করে দেন বা গ্রহণ করেন, মন্ত্রণালয় থেকে সরাসরি তা শনাক্ত করা সম্ভব হবে। কারণ, নতুন সফটওয়্যারভিত্তিক নামজারি তদারকি ব্যবস্থা ইতিমধ্যে চালু করা হয়েছে।
যে ৯ ধরনের জমির নামজারি বন্ধ:
১️⃣ দলিল ও রেকর্ডের মধ্যে অমিল থাকলে।
২️⃣ মালিকানার শর্ত বিলুপ্ত বা বিতর্কিত হলে (যেমন দেশভাগের সময় পরিত্যক্ত সম্পত্তি)।
৩️⃣ ভেস্টেড প্রপার্টি বা শত্রু সম্পত্তি।
৪️⃣ নদীভাঙন বা শিকস্তি পয়স্তি জমি, যা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
৫️⃣ মালিকানা নিয়ে মামলা চলমান এমন জমি।
৬️⃣ অবৈধ হেবা দলিলকৃত সম্পত্তি (যেখানে হেবা নিয়ম লঙ্ঘিত হয়েছে)।
৭️⃣ সরকারি দপ্তর বা বোর্ডের নামে রেকর্ডভুক্ত জমি, যেমন পানি উন্নয়ন বোর্ড বা বিদ্যুৎ বোর্ডের জমি।
৮️⃣ প্রয়োজনীয় দলিল, রেকর্ড বা কাগজপত্র অনুপস্থিত থাকলে।
৯️⃣ বাটোয়ারা বা বন্টননামা ছাড়া উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া ওয়ারিশ সম্পত্তি।
অবৈধ নামজারি হলে করণীয়:
ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যদি কারও জমি এই নিষিদ্ধ ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে, তবে তাকে প্রথমে রেকর্ড বা দলিল সংশোধন করতে হবে, তারপর আইনগতভাবে আবেদন করতে হবে। অন্যথায়, এমন নামজারি বাতিল হয়ে যাবে।
ডিজিটাল তদারকি জোরদার:
এখন থেকে ভূমি অফিসের প্রতিটি নামজারি আবেদন ডিজিটালভাবে যাচাই হবে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নামজারি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ভূমি কর্মকর্তাদের কার্যক্রম সরাসরি মনিটরিং সিস্টেমে যুক্ত করা হয়েছে।
সতর্কবার্তা:
অবৈধ কাগজপত্রে নামজারি করলে বা করালে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আবেদনকারীর বিরুদ্ধে দণ্ডনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
Comments
Post a Comment