একজন নারী সারাদিন কী করে, সেটা অনেকেই দেখেন না।
সকালের আলো ফুটতে না ফুটতেই সে শুরু করে তার যুদ্ধ—
রান্না, কাপড়, ঘর পরিষ্কার, বাচ্চার স্কুল, শ্বশুরবাড়ির খেয়াল,
আর শেষে স্বামীর প্রয়োজন মেটানো...
একটা মেশিনের মতো ঘুরতে থাকে সে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত।
কিন্তু রাত শেষে যখন ক্লান্ত শরীর নিয়ে সে একটু স্বস্তি চায়,
তখন যদি শোনে —
তাহলে সেই নারীর বুকের ভেতরটাও নিঃশব্দে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়।
সে হয়তো চুপ করে থাকে, মুখে হাসি রাখে,
কিন্তু ভেতরে ভেতরে তার আত্মসম্মান, তার ভালোবাসা,
তার নারীসত্তা আস্তে আস্তে নিঃশেষ হয়ে যেতে থাকে।
আর তখন যদি কোথাও —
কোনো পুরনো বন্ধু, সহকর্মী, বা পরিচিত কেউ একটুখানি বলে—
তাহলে সেই নারীও একটু থমকে যায়।
তার মনেও জন্ম নেয় একটুখানি ‘ভালো লাগা’,
যেটা হয়তো শুরুতে নির্দোষ,
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সেই ভালো লাগাটাই হয়ে ওঠে বিপজ্জনক।
এভাবেই শুরু হয় এক নীরব মানসিক পরকীয়া—
যার শুরু হয় অভাব থেকে,
আর শেষ হয় আত্মধ্বংসে।
ফলাফল?
সবকিছুর শুরু হয় একটাই জায়গা থেকে —
অবহেলা আর কটু বাক্য।
ভালোবাসা শুধু দেহের নয়, মনেরও যত্ন চায়।
একটি মিষ্টি কথা, একটি ছোট প্রশংসা,
একটি “তুমি অনেক কষ্ট করো, ধন্যবাদ”—
এই কয়েকটি শব্দই এক নারীকে জীবনের কঠিনতম যুদ্ধেও জিতিয়ে দিতে পারে।
কারণ একজন নারীও ভালোবাসার অক্সিজেনেই বাঁচে—
প্রশংসা, সম্মান আর একটু যত্ন।
#দাম্পত্যজীবন #ভালোবাসা #সম্মান #নারীর_মূল্য #relationshiptruth #respect #realitycheck
See less
Comments
Post a Comment