গাজায় ফুসকুড়ি ও চুলকানিতে অতিষ্ঠ ইসরায়েলি সেনারা

 

গাজা উপত্যকাজুড়ে অস্থায়ী সেনাচৌকিগুলোতে অবস্থান নেওয়া ইসরায়েলি সেনারা ব্যাপক ফুসকুড়ি এবং ক্রমাগত চুলকানির মতো ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলি দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ব্যাপক ছারপোকার আক্রমণে এমন ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন সেনারা। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো অস্থায়ী দুর্গে পরিণত করা ইউনিটগুলোও একই ধরনের অভিযোগ জানাচ্ছেন।

সমস্যাটি মূলত মধ্য এবং দক্ষিণ গাজায় রিপোর্ট করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গাজা শহরের জেইতুন পাড়া এবং উত্তরে জাবালিয়ার সেনারাও এ নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন রিজার্ভ কর্মকর্তা সংবাদপত্রটিকে জানান, ‘সেনারা কয়েক সপ্তাহ ধরে নীরবে ভুগছে, রাতে চুলকানিতে আরও খারাপ অবস্থা হয়। পোষাক এবং স্লিপিং ব্যাগের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। এমনকি যারা সরাসরি মাটিতে ঘুমায় না তাদের মধ্যেও ছড়িয়েছে এই পোকার সংক্রমণ।’

একজন সেনার বাবা বলেন, ‘তার ছেলেদের বলা হয়েছিল বলা হয়েছিল, এই পোস্টগুলো মাত্র কয়েক সপ্তাহের জন্য অস্থায়ী হবে, কিন্তু এখন এগুলো স্থায়ী হয়ে গেছে। তারা ময়লা-আবর্জনার মধ্যে বাস করছে। তাদের এই ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে ফেলার কোনো যুক্তি নেই।’ তিনি আরও জানান, এলাকায় বিপথগামী বিড়াল এবং কুকুর বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে দুর্বল স্যানিটারি পরিস্থিতি সেনাদের পরিত্যক্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত কাঠামোতে বসবাসের ব্যবস্থার কারণে তৈরি হয়েছে, যেখানে কোনো উপযুক্ত বাথরুম নেই।

ইসরায়েলের চলমান অবরোধের ফলে গাজার একটি বিশাল অংশ অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি এবং সংক্রমণে জর্জরিত হয়েছে, এতে ভুক্তভোগী হচ্ছে ইসরায়েলি সেনারাও। অন্যদিকে যুদ্ধের ফলে বাস্তুচ্যুত লাখ লাখ ফিলিস্তিনি বিভিন্ন প্রাণী এবং পোকামাকড়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে।

Comments

Popular posts from this blog

জমি খারিজ করেনি যারা, তাদের জন্য বড় তিন সুখবর!

W পজিশনে বাচ্চাকে বসতে দেখলে সাথে সাথে থামাবেন

দাঁ’তের গর্ত কেন হয়, আর গর্ত হলে আপনি কী করবেন জেনে নিন