আহ সন্তান কি ভাবে পারলে মায়ের সাথে এমন কাজ করতে!! ধৈর্য সহকারে সম্পুর্ণ লেখাটি পড়ার অনুরোধ রইল
আহ সন্তান কি ভাবে পারলে মায়ের সাথে এমন কাজ করতে!! ধৈর্য সহকারে সম্পুর্ণ লেখাটি পড়ার অনুরোধ রইল
শহরের উঁচু-উঁচু দালান, চকচকে ফ্ল্যাট আর দামি আসবাব—এই সব বিলাসিতার আড়ালে অনেক সময় লুকিয়ে থাকে এক অমানবিক সত্য: অবহেলিত মা।
তিনি সারাজীবন ছেলেকে মানুষ করার জন্য নিজের সব স্বপ্ন-ইচ্ছা বিসর্জন করে দিয়েছেন। স্বামী মারা যাওয়ার পরে ভোরবেলায় উঠে অন্যের বাড়িতে কাজ করে ঘরের সংসার চালিয়েছেন। নিজে ক্ষুধা লুকিয়ে ছেলেকে খাওয়া খাওয়ানো; ছেলের জামায় হাত দিয়ে টুকটাক সেলাই—তবুও মুখে হাসি রেখে বলতেন, “তোর জামাটা তো একদম নতুনের মতোই হয়ে গেছে।”
ছেলেকে লেখাপড়া করিয়ে শহরের নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করালেন। কষ্ট করে, নিঃস্বার্থভাবে বড় করলেন—তারাই ছিলো তার জীবন। কিছুদিন পরে ছেলেটি চাকরি পেলো, পছন্দের মেয়ে বিয়ে করলো। মায়ের মনে তখন আনন্দের সোশাল আলো জমে উঠলো—ধরা ছিলো বিশ্বাস, ‘এবার হয়ত তার সংসারে আমি সুখে থাকতে পারবো।’
কিন্তু বউয়ের চোখে শাশুড়ি যেন বাড়ির বাড়তি বোঝা। নানা অজুহাতে ছেলেকে চাপ দিতে লাগলো— এত ছোট ফ্লাটে কষ্ট করে থাকি, মা যদি গ্রামের বাড়িতেই থাকেন, তাহলে সবার জন্য ভালো হয়।” আমাদের খরচটা একটু কমে যেত। ছেলে বাসায় আসলেই প্রতিনিয়ত মায়ের অনুপস্থিতিতে এ ধরনের কথা বলতো।
ছেলে বউয়ের কথা রাখতে মাকে বলে মা আমাদের তো ছোট্ট ফ্ল্যাট,, আমি জানি এখানে থাকতে তোমারও কষ্ট হয়, তাই আমি তোমার জন্য একটা নতুন ফ্লাট নিয়েছি। বিকেলে অফিস শেষে তোমাকে দেখাবো।” মায়ের মন ফুলে উঠলো—শুনেই ভাবলেন, ‘এই যে শেষ জীবনে ছেলে আমাকে সুন্দর বাসস্থান দিলো, এবার শান্তিতে কাটাবো।’ তিনি আর বেশি কিছু চাননি, কেবল ছেলের সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন।
বিকেলে তারা বেরোলেন। গাড়িটি থামল—মা গাড়ি থেকেই নামতেই দেখলেন চারপাশে বয়স্ক মানুষের ভিড়, দরজার ওপর লেখা—‘বৃদ্ধাশ্রম’। তাকে বুঝতে বেশি সময় লাগলো না; ছেলে যা ‘নতুন প্লাট’ বলে এনেছে, সেটি ছিলো না—এটি ছিলো সেই জায়গা যেখানে তারা ক্লান্ত মায়ের জীবনকে ঠুকছে রাখলো। মা স্তব্ধ হয়ে গেলেন। তার মুখে একটি ফোঁটা অশ্রু silently গড়িয়ে গেল। তিনি কিছু বলেননি—শুধু বৃদ্ধাশ্রমের দরজায় দাঁড়িয়ে ছেলের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকলো।
আর ছেলেটি গাড়িতে উঠে চলে গেল শহরের দামি ফ্ল্যাটে। মায়ের জন্য সেই প্লাট ছিলো শেষ আশ্রয়—কিন্তু বঞ্চিত হলো শেষ স্পর্শটিও।কয়েক মাস পরে এক গভীর রাতে ফোন এল ছেলের নিকট—“আপনার মা কিছুক্ষণ আগে ইন্তেকাল করেছেন। আমরা দাফন করতে ছাচ্ছি, আপনি কি আসবেন?” সেই রিং—সেই কথাগুলো ছিলো কেমন এক বজ্রবৃষ্টি। শুনে যেন আকাশ ছেঁচে পড়লো আমার মাথার উপর।
তার পর থেকে ঘুম হারিয়ে ফেলেছি—প্রতিটি রাতেই মনে হয় আমি বড় কিছু হারিয়ে ফেলেছি। তিন বছর কেটে গেলেও প্রতিদিন স্বপ্নে দেখি মা আমার নাম ডেকে ডাকে। তার সেই হাসি, তার খড়্গহীন ত্যাগ—সবই এখন শুধু স্মৃতির আড়ালে।
—নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক—এক ভাই inboxএ পাঠিয়েছে।
মা আমাদের সব—তাঁর ত্যাগ, ভালোবাসা আর মমতা বোঝার মতো ভাষা কম পড়ে যায়। এই লেখা তাদের কাছে একবার মনে করিয়ে দিক—যে মা এখনও আমাদের পাশে আছেন, তাদের কাছে সময় দিন; আর যারা থেকে গেছেন, তাদের সম্মান এবং স্মরণ রেখে চলুন। বেচে থাকতে মা বাবার যত্ন নিন মৃ ত্যু পর আফসোস করে কোন লাভ হবে না
Comments
Post a Comment