দ্রুতগতিতে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন ‘রাগাসা’, যেখানে বন্ধ হলো স্কুল-বিমানবন্দর
হংকংয়ের দিকে দ্রুত ধেয়ে আসছে শক্তিশালী সুপার টাইফুন ‘রাগাসা’। এর প্রভাবে উপকূলের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল ও বিমানবন্দর।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ৩৬ ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে। এ সময়ে সব ফ্লাইট বাতিল করা হবে। তবে টার্মিনাল খোলা থাকলেও বিপুলসংখ্যক ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হংকং অবজারভেটরি সোমবার দুপুরে টাইফুন সতর্কতা নম্বর ১ জারি করেছে। রাতের মধ্যে এটি ৩-এ উন্নীত হবে এবং মঙ্গলবার দুপুরে সংকেত নম্বর ৮ জারি করা হতে পারে।
দেশটির সরকার মঙ্গলবার ও বুধবার সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
টাইফুন রাগাসার নাম এসেছে ফিলিপিনো শব্দ ‘দ্রুতগতি’ থেকে। সোমবার ভোরে এটি লুজোন প্রণালী অতিক্রম করেছে। কেন্দ্রস্থলে বাতাসের গতি ঘণ্টায় ২৩০ কিমি পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, রাগাসার ব্যাপক পরিসর ও গতি হংকংসহ গুয়াংডং উপকূলে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করছে। সরাসরি হংকংয়ে না আছড়ালেও এর প্রভাব ২০১৮ সালের মাংখুত টাইফুনের চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে।
এবারও উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তলো হারবারে জোয়ারের উচ্চতা ৪ থেকে ৫ মিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা রেকর্ড ছুঁতে পারে। লেই ইউ মুন, হেং ফা চুয়েন, তুয়েন মুনের গ্রাম ও তাই ও এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি কা-চিউ জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই সিকিউরিটি ব্যুরোকে জরুরি মনিটরিং সেন্টার সক্রিয় করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও বিভাগগুলোকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকালে রাগাসা হংকংয়ের সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে পৌঁছাবে। নাগরিকদের দ্রুত প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Comments
Post a Comment