হার্ট অ্যাটাক আসার আগে যে ৮টি সতর্ক সংকেত দেয় শরীর
আমরা প্রায়ই ভাবি হার্ট অ্যাটাক হঠাৎ করে ঘটে যায়। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, হৃৎপিণ্ড আসলে আগে থেকেই শরীরকে সতর্ক সংকেত পাঠায়। সমস্যা হলো এসব ইঙ্গিতকে আমরা সাধারণ অসুস্থতা ভেবে উপেক্ষা করি। অথচ সময়মতো ব্যবস্থা নিলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটা কমানো সম্ভব।
হার্ট অ্যাটাকের আগাম ৮টি সিগন্যাল
.বুকে চাপ বা অস্বস্তি: ভারী লাগা, চাপ ধরা বা পুড়ে যাওয়ার মতো ব্যথা কয়েক মিনিট স্থায়ী হতে পারে অথবা বারবার ফিরে আসতে পারে।
ব্যথা ছড়িয়ে পড়া: শুধু বুকে নয়, কাঁধ, বাহু, ঘাড়, চোয়াল, পিঠ বা উপরের পেটেও ব্যথা ছড়িয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে বাঁ হাতে ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ।
.শ্বাস নিতে কষ্ট: হঠাৎ হাঁপিয়ে যাওয়া বা বিশ্রামের সময়ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করা হার্ট সমস্যার স্পষ্ট সংকেত।
.ঠান্ডা ঘাম: স্বাভাবিক পরিবেশে অস্বাভাবিকভাবে ঘেমে যাওয়া, বিশেষ করে বুকে চাপ বা দুর্বলতার সঙ্গে হলে সতর্ক হতে হবে।
.বমিভাব বা পেটের অস্বস্তি: অনেক সময় গ্যাস্ট্রিক ভেবে ভুল করা হয়, কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের আগেও এই উপসর্গ দেখা দিতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে এটি বেশি ঘটে।
.মাথা ঘোরা বা ঝিমঝিম লাগা: হঠাৎ মাথা ঘোরা বা চোখে অন্ধকার দেখা দিতে পারে রক্ত সঞ্চালনের সমস্যার কারণে।
.অস্বাভাবিক ক্লান্তি: সামান্য কাজেই অতিরিক্ত ক্লান্তি বা হাঁপিয়ে যাওয়া হৃদরোগের সতর্কবার্তা হতে পারে।
.হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া বা অনিয়মিত হওয়া: হঠাৎ হার্টবিট বেড়ে যাওয়া বা অস্বাভাবিকভাবে চলা, বিশেষ করে বুকে ব্যথার সঙ্গে হলে, এটি অবহেলা করা যাবে না।
করণীয়
.এসব উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
.প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন বা নিকটস্থ হাসপাতালে যান।
.ঘরে অ্যাসপিরিন থাকলে এবং অ্যালার্জি না থাকলে চিকিৎসকের নির্দেশে খাওয়া যেতে পারে। তবে এটি চিকিৎসার বিকল্প নয়।
.নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন, বিশেষ করে বয়স ৪০-এর বেশি হলে বা পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে।
চিকিৎসকরা বলছেন, সময়মতো চিকিৎসা নিলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ও জটিলতা অনেকটাই কমানো যায়। তাই শরীরের দেওয়া সতর্ক সংকেতগুলো অবহেলা না করে সচেতন থাকাই জীবন বাঁচানোর সবচেয়ে বড় উপায়।
Comments
Post a Comment