যে ৪৬ আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়েছে .জেনে নিন
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে পরিবর্তন এসেছে দেশের ৪৬টি নির্বাচনী আসনে। এরমধ্যে গাজীপুরের আসন ৫টি থেকে বাড়িয়ে ৬টি এবং বাগেরহাটের আসন ৪টি থেকে একটি কমিয়ে ৩টি করা হয়েছে। এ ছাড়া, ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ৬টি আসনের সীমানায় কমবেশি পরিবর্তন আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানার চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ সংসদীয় এলাকার সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন করা হয়েছে। তা গেজেটে আকারে প্রকাশ করা হবে।
চূড়ান্ত করে যে ৪৬ আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- পঞ্চগড়-১ (পঞ্চগড় সদর ও তেতুলিয়া উপজেলা এবং আটোরিয়া উপজেলা (বোদা পৌরসভার অংশ বাদে); পঞ্চগড়-২ (বোদা উপজেলার ইউনিয়নসমূহ, বোদা পৌরসভা এবং দেবীগঞ্জ উপজেলা); রংপুর-১ (গংগাচড়া উপজেলা এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের ১-৯ নম্বর ওয়ার্ড); রংপুর-৩ (রংপুর সদর উপজেলা, ওয়ার্ড নম্বর ১ থেকে ৯ ব্যতীত রংপুর সিটি করপোরেশন এবং রংপুর সেনানিবাস এলাকা); সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর উপজেলা এবং সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মেছড়া, রতনকান্দি, বাগবাটি ও ছোনগাছা ইউনিয়ন); সিরাজগঞ্জ-২ (সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাহুলী, শিয়ালকোল, খোকশাবাড়ী, কাওয়াকোলা, কালিয়াহরিপুর ও সয়দাবাদ ইউনিয়ন, সিরাজগঞ্জ পৌরসভা এবং কামারখন্দ উপজেলা); সাতক্ষীরা-২ (সাতক্ষীরা সদর ও দেবহাটা উপজেলা); সাতক্ষীরা-৩ (কালিগঞ্জ ও আশাশুনি উপজেলা); সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর উপজেলা); শরিয়তপুর-২ (নড়িয়া উপজেলা এবং ভেদরগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়নসমূহ (সখীপুর থানা: আর্শিনগর, কাচিকাটা, চরকুমারিয়া, চরভাগা, চরসেনছাস, উত্তর তারাবুনিয়া, দক্ষিণ তারাবুনিয়া, ডিএম খালি ও সখিপুর ইউনিয়ন); শরিয়তপুর-৩ (ডামুড্যা ও গোসাইরহাট উপজেলা এবং ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও, নারায়ণপুর, মহিষার ও রামভদ্রপুর ইউনিয়ন এব ভেদরগঞ্জ পৌরসভা)।
গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর উপজেলা এবং গাজীপুর সিটির ৭ থেকে ১২ নম্বর ওয়ার্ড); গাজীপুর-২ (গাজীপুর সিটির ১ থেকে ৬ ও ১৩ থেকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ড এবং গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়ন); গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর উপজেলা এবং গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর, ভাউয়াল গড় ও পিরুজালী ইউনিয়ন এবং গাজীপুর সেনানিবাস); গাজীপুর-৫ (কালিগঞ্জ উপজেলা এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪০ থেকে ৪২ নম্বর ওয়ার্ড); গাজীপুর-৬ (গাজীপুর সিটির ৩২ থেকে ৩৯ এবং ৪৩ থেকে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড); নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা (নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ড); নারায়ণগঞ্জ-৪ (নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা, এনায়েতপুর, বক্তাবলী, কাশিপুর, কুতুবপুর, গোগনগর ও আলিরটেক ইউনিয়ন); নারায়ণগঞ্জ-৫ (নারায়ণগঞ্জ সিটির ১১ থেকে ২৭ নম্বর ওয়ার্ড এবং বন্দর উপজেলা)।
নোয়াখালী-২ (সেনবাগ উপজেলা, সোনাইমুড়ী উপজেলার বারগাঁও, নাটেশ্বর ও অম্বর নগর ইউনিয়ন); নোয়াখালী-৪ (সুবর্ণচর উপজেলা এবং নোয়াখালী সদর উপজেলার চরমটুয়া, দাদপুর, নোয়ান্নই, কাদিরহানিফ, বিনোদপুর, নোয়াখালী, ধর্মপুর, এওজবালিয়া, কালাদরাগ, পূর্ব চরমটুয়া ও আন্ডারচর ইউনিয়ন, নোয়াখালী পৌরসভা); নোয়াখালী-৫ (কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা এবং নোয়াখালী সদর উপজেলার আশ্বদিয়া ও নেয়াজপুর ইউনিয়ন)।
এরআগে, গত ৩০ জুলাই ৩০০ আসনের খসড়া প্রকাশ করে ইসি। সেখানে ৩৯টি আসনের সীমানায় কমবেশি পরিবর্তন আনা হয়েছিল। খসড়ায় গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানো এবং বাগেরহাটে একটি আসন কমানো হয়েছিল। খসড়ার ওপর দাবি-আপত্তি জানাতে ১০ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়।
গত ২৪ থেকে ২৭ আগস্ট টানা চার দিন প্রস্তাবিত নির্বাচনী এলাকার সীমানা নিয়ে দাবি-আপত্তি ও আবেদনের ওপর শুনানি শেষ করে নির্বাচন কমিশন সচিব বলেছিলেন, পর্যালোচনা করে যত দ্রুত সম্ভব চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
Comments
Post a Comment