বাচ্চার উপর প্র'চণ্ড😡 রা'গ হলে কী করবেন? সময় থাকলে পড়ে নিন।

 মা হওয়া মানেই ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব, ক্লা'ন্তি আর চা'প


😔। এই চাপের মধ্যে বাচ্চার ছোটখাটো দুষ্টুমি বা না খাওয়া, খামখেয়ালি করা আমাদের মেজাজকে খুব দ্রুত খারাপ করে দেয়।
♦ কিন্তু গবেষণা বলছে, মায়ের রা'গ বারবার শিশুর মস্তিষ্কে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল বাড়িয়ে দেয়, যা তার আবেগ নিয়ন্ত্রণ, আত্মবিশ্বাস এবং শেখার ক্ষমতাকে ক্ষ'তিগ্রস্ত করে। তাই রাগকে নিয়ন্ত্রণ করা শুধু আমাদের শান্ত থাকার জন্য নয়, সন্তানের ভবিষ্যতের জন্যও জরুরি।
♦ যখন আমরা রেগে যাই, তখন আমাদের অ্যামিগডালা (মস্তিষ্কের আবেগ কেন্দ্র) সক্রিয় হয় এবং কন্ট্রোল সিস্টেম প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য হুট করে চিৎকার বা বকা বের হয়ে আসে। এখন সমাধান হলো হলো, সেই কন্ট্রোল সিস্টেমকে আবার সক্রিয় করা। সেটা আমাদেরি করতে হবে।
♦ কিছু কার্যকরী উপায়, যা আমার কাজে আসে💁‍♀️
১. Pause & Breathe (থামুন আর শ্বাস নিন)
১০ সেকেন্ড গভীর শ্বাস নিন। এতে মস্তিষ্কে অক্সিজেন বাড়ে, অ্যামিগডালার উত্তেজনা কমে যায়। ফলে রাগ কমে, এটা আমার ভীষণ কাজে দেয়।
২. সৃষ্টিকর্তাকে ডাকুন
মনে মনে প্রার্থনা করুন, যেন আপনার ধৈর্য্য বাড়ে, আপনার হাতে যেন বাচ্চাটা মানসিক বা শারীরিক আঘাত না পায়। পিতামাতা হিসেবে সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন ধৈর্য্য। প্রতিটি প্রার্থনায়, সন্তানের মঙ্গল কামনার পাশাপাশি ধৈর্য্য চাইবেন।
৩. নিজেকে দূরে নিন
রাগ খুব বেড়ে গেলে সামান্য সময়ের জন্য রুম থেকে বেরিয়ে যান। এতে প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সকে রিসেট করার সুযোগ মেলে। এতে আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা বাড়ে।
৪. শিশুর আচরণকে বয়স অনুযায়ী বোঝার চেষ্টা করুন
ছোট শিশুরা ইচ্ছা করে নয়, বরং তাদের মস্তিষ্ক এখনো পুরোপুরি ডেভেলপ হয়নি। তাই ধৈর্য জরুরি। তারা এখন সব শিখতে চায়, জানতে চায়, করতে চায়, আপনিও কিন্তু নতুন জায়গায় গেলে বা নতুন জিনিস দেখলে কৌতূহলি হয়ে ওঠেন, কিন্তু ওর ব্রেইন এখনো পুরোপুরি ডেভলপ হয়নি, তাই ও সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা যা আপনি পারেন। তাই বোঝার চেষ্টা করুন।
৫. নরম কিন্তু দৃঢ় কণ্ঠ ব্যবহার করুন
চিৎকার নয়, বরং শান্ত গলায় বলুন— “এভাবে করলে আমি কষ্ট পাই, তুমি চাইলে এভাবে করতে পারো।” এতে বাচ্চা নিরাপদ থেকেও শিখতে পারে।
৬. পরে সংযোগ (Reconnection)
রাগ কেটে গেলে শিশুকে জড়িয়ে ধরুন , চুমু খান, " Sorry" বলুন এবং সহজভাবে বুঝিয়ে দিন। এতে তার ব্রেইনে আবার সুরক্ষার অনুভূতি তৈরি হয়।
♦♦ যা করবেন না
♦ মা'রধর বা অপমানজনক কথা( যেমন: গাধা, বেয়াদব, ইত্যাদি)
♦ দীর্ঘ সময় উপেক্ষা করা( এতে ওরা খুবি কষ্ট পায়, অসহায় বোধ করে)
♦ নিজের রাগকে “শিশুকে শিক্ষা দেওয়ার উপায়” ভেবে নেওয়া, এটা খুব ভুল কাজ।
♦♦ আপনি যখন নিজের ম'স্তিষ্ক শান্ত রাখেন, তখন শিশুর মস্তিষ্কও শেখে কিভাবে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
♦ আপনার প্রতিটি রা'গ সামলানো মানেই শিশুকে এক নতুন লাইফ স্কিল শেখানো। আর আপনি নিয়ন্ত্রণ হাড়ানো মানে তাকে এটাই শেখানো যে, কারো কোনে কাজ পছন্দ না হলেই ধ*মক দাও, মা*র দাও।
ধন্যবাদ 🙏

Comments

Popular posts from this blog

জমি খারিজ করেনি যারা, তাদের জন্য বড় তিন সুখবর!

W পজিশনে বাচ্চাকে বসতে দেখলে সাথে সাথে থামাবেন

দাঁ’তের গর্ত কেন হয়, আর গর্ত হলে আপনি কী করবেন জেনে নিন