স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে অনশনে বসা নারীকে গাছে বেঁধে পেটানোর পর যা ঘটলো
টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে অনশনে বসা এক নারীকে (৩০) গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের ঘটনায় এলাকাজুড়ে বেশ চাঞ্চল্য চলছে এখনও। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন অভিযুক্ত তরুণ আবদুর রশিদ (২১), তার বাবা আব্বাস আলী (৫০) ও মা চন্দ্রা ভানু (৪৫)। শনিবার সকালে তাদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সখীপুর উপজেলার হতেয়া রাজাবাড়ি ইউনিয়নের বাজাইল গ্রামে ওই নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় গতকাল দুপুরে ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় মামলা করেন। মামলার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা যায়, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে বছরখানেক আগে রশিদ ও ওই নারীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় ছয় মাস আগে তারা আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন। বিয়ের পর আব্দুর রশিদ তার আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে তরুণীকে নিয়ে রাতও কাটান। পরে স্বামীর বাড়িতে উঠতে চাইলে রশিদ ও তার পরিবার সম্পর্ক অস্বীকার করেন।
সম্প্রতি রশিদ ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এরপর স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে রশিদের বাড়িতে গিয়ে অনশনে বসেন ওই নারী। একপর্যায়ে দুপুরে রশিদ ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে গাছে বেঁধে মারধর করেন। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় একজন গণমাধ্যমকর্মী ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে যান। পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও দেখে ওই নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তার বাবা।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূঁইয়া বলেন, মামলা হওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Comments
Post a Comment