এবার সকল স্কুলে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ

 

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকল জানিয়েছেন, সাইবার বুলিং ও মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধির কারণে নতুন শিক্ষাবর্ষে (২০২৫-২৬) কিন্ডারগার্টেন থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে মোবাইল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

সোমবার (২৫ আগস্ট) নায়াগ্রা ফলস হাইস্কুলে আয়োজিত এক বৈঠকে তিনি এসব উদ্যোগের কথা জানান। এর ফলে স্কুলে মোবাইল ফোন ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা আরোপকারী অঙ্গরাজ্যের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫টিতে। ২০২৩ সালে প্রথম এই নিয়ম চালু করেছিল ফ্লোরিডা।

নতুন নীতি অনুসারে, শিক্ষার্থীদের স্কুলের দিনের শুরুতে তাদের ফোন লক করে রাখা হবে এবং একটি থলিতে রাখা হবে যা দিনের জন্য ক্লাস ছুটি না হওয়া পর্যন্ত লক করা থাকবে।ক্যাথি হোকল অভিযোগ করে বলেন, এক দশক ধরে পড়াশুনার সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মোবাইল ফোন। প্রতিদিন গড়ে ২৫০টির মতো নেতিবাচক নোটিফিকেশন শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাচ্ছে। যার বেশিরভাগ নেতিবাচক আর ক্ষতিকারক। টেক কোম্পানিগুলো শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য বিজ্ঞাপন কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রি করেছে। এ কারণে নিউ ইয়র্ক দেশের প্রথম স্টেট হিসেবে অনলাইন মনিটাইজেশন বন্ধ করে দিয়েছে।

সোমবারের গোলটেবিল বৈঠকে নায়াগ্রা ফলস সিটি স্কুলের সুপারিনটেনডেন্ট মার্ক লরি এবং ল্যাকাওয়ানা সিটি স্কুল ডিস্ট্রিক্টের সুপারিনটেনডেন্ট নাদিয়া নাশির উভয়ই উপস্থিত ছিলেন। তারা একমত যে- মোবাইল ফোনের ব্যবহার শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এবং শিক্ষা থেকে তাদের মনোযোগ সরিয়ে দেয়।

লরি বলেন, দিনের মাঝখানে যদি শিক্ষার্থীদের ফোনে ধরা পড়ে, তাহলে চার ধাপের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রথম ধাপ হলো তোমাকে সতর্ক করা, ফোনটা দূরে রাখো। দ্বিতীয় ধাপ হলো তোমার ফোনটা আমাকে দাও, দিনের শেষে তুলে নাও। তৃতীয় ধাপ হলো তোমার বাবা-মাকে ফোনটা তুলে নিতে হবে। চতুর্থ ধাপ হলো, তোমার বাবা-মাকে ফোনটা তুলে নিতে হবে এবং শুনানি করতে হবে।

নাশির বলেন, আপনি যখন স্কুলে থাকেন, তখন অবশ্যই শিক্ষাদান এবং শেখার উপর মনোযোগ দিতে হবে এবং পরিবারগুলি বিশ্বাস করতে পারে যে একবার শিক্ষার্থী এবং কর্মীরা নিরাপদে থাকলে, আমাদের তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার হল দ্রুত, স্বচ্ছভাবে এবং তারা যে ভাষায় বোঝে সেই ভাষায় যোগাযোগ করা। অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা জানেন যে কীভাবে যেকোনো সময় একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে হয় – ইমেলের মাধ্যমে, প্রধান অফিসে কল করে, রিমাইন্ড অ্যাপের মাধ্যমে, অথবা স্কুল পরিদর্শন করে।

Comments

Popular posts from this blog

জমি খারিজ করেনি যারা, তাদের জন্য বড় তিন সুখবর!

W পজিশনে বাচ্চাকে বসতে দেখলে সাথে সাথে থামাবেন

দাঁ’তের গর্ত কেন হয়, আর গর্ত হলে আপনি কী করবেন জেনে নিন