ড্রাগন ফল কারা খাবেন কারা খাবেন না, কতটা খাওয়া নিরাপদ, জানালেন পুষ্টিবিদ
ড্রাগন ফল কারা খাবেন কারা খাবেন না, কতটা খাওয়া নিরাপদ, জানালেন পুষ্টিবিদ
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানালেন পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহান
ড্রাগন ফলকে অনেকেই ‘সুপার ফ্রুট’ বলে থাকেন। বর্তমান সময়ে স্বাস্থ্যসচেতনদের কাছে এটি ফল হিসেবে একটু বেশিই জনপ্রিয়। ব্যতিক্রমী স্বাদ, আকর্ষণীয় রং ও পুষ্টিগুণে ভরপুর হওয়ায় অনেকেই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করেন ফলটি।
আয়রন, ফাইবার ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে ড্রাগনে। ফলটিতে অসংখ্য উপকারী উপাদান থাকায় অনেকেই পরিমাণের থেকে বেশি খেয়ে ফেলেন। আবার ক্ষেত্র বিশেষ পরিমিত খাওয়ার পরও কারও কারও স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়। মূলত ড্রাগনের যেমন উপকারিতা রয়েছে, আবার এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। এ জন্য ফলটি খাওয়ার আগে জানা উচিত―ড্রাগন ফল কাদের খাওয়া উচিত, কাদের উচিত নয় এবং কী পরিমাণ খেতে হবে।
কারা খাবেন:
এ পুষ্টিবিদ বলেন, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার ও আয়রন সমৃদ্ধ এই ফল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। একইসঙ্গে রক্তাল্পতার সমস্যা থাকলে তা সমাধান করে, এ ক্ষেত্রে ড্রাগনে বিদ্যমান আয়রন উপাদান খুবই সহায়ক। অনেকেরই হজমজনিত সমস্যা দেখা যায়। যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে তারা ড্রাগন খেতে পারেন। এতে থাকা ফাইবার হজমের সমস্যা দূর করে। আবার ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিও করে। ডায়াবেটিসের জন্যও উপকারী এটি। এছাড়া শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে এই ফল কার্যকর বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহান।
হজমে সমস্যা থাকা মানুষদের খালি পেটে ড্রাগন খাওয়া ঠিক নয় বলে জানালেন পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহান। এ ধরনের সমস্যায় খালি পেটে ড্রাগন খাওয়া হলে পেট ফাঁপা, ডায়েরিয়া, বমি বা অস্বস্তি বোধ হতে পরে। কিডনি রোগ বা কিডনিতে পাথরের প্রবণতা থাকলে সীমিত পরিমাণ ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত। কেননা, ড্রাগনে অল্প পরিমাণ অক্সালেট থাকে, যা কখনো কখনো কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ হতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয় পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া।
Comments
Post a Comment