বদনামের দায় নেবেন না বলে অবষেশে পদত্যাগ করলেন
দলীয় নেতাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং গত ৫ আগস্টের পর অর্জন করা বদমানের দায় নেবেন না বলে পদত্যাগ করেছেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. গোলাম ওয়াহীদ হারুন।
গত ৮ মার্চ তার পদত্যাগপত্রটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গোটা জেলা এবং উপজেলা বিএনপিতে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় শুরু হয়।
পদত্যাগপত্রে মো. গোলাম ওয়াহীদ উল্লেখ করেছেন, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির বিতর্কিত কর্মতৎপরতা, অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয়হীনতা ও ইতিমধ্যে কুড়ানো দুর্নামের ভাগীদার না হবার দৃঢ় প্রত্যয়ে ৮ মার্চ থেকে কমিটির যুগ্ম আহ্বায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।
এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক দীপেন জমাদ্দার বলেন, ২০২৩ সালের জুনে আমাদের ৫ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়।সেই কমিটির দুই নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম ওয়াহীদ। এখন পর্যন্ত কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়ন
তিনি বলেন, গোলাম ওয়াহীদের পদত্যাগের বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। ইতিপূর্বে তিনি আমাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা এমনকি সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্নও তোলেননি।
যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম ওয়াহীদের পদত্যাগপত্র হাতে পাননি বলে দাবি করেছেন বরিশাল জেলার (উত্তর) আহ্বায়ক দেওয়ান মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ। তিনি বলেন, গত ছয় মাস ধরে গোলাম ওয়াহীদের রাজনৈতিক কর্যক্রম আমরা দেখিনি। হঠাৎ ফেসবুকে তার পদত্যাগপত্রটি পেয়েছি। কিন্তু এটি কোনো সাংগঠনিক নিয়ম নয়। কেউ পদত্যাগ করতে চাইলে অবশ্যই পদত্যাগপত্র দায়িত্বশীলদের হাতে দিতে হবে।
এ বিষয়ে গোলাম ওয়াহীদ হারুন বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিএনপির ৯০ শতাংশ কর্মসূচিতে আমি ছিলাম। এখন যারা নেতা দাবি করছেন তারা কোথায় ছিলেন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, গত ছয় মাস ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকার দাবি কিছুটা সত্যি। যখন দেখলাম দলের সাংগঠনিক যে উদ্দেশ্য তা থেকে আমাদের অনেক লোক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছে তখন তাদের থেকে বেরিয়ে আসি। এ কারণে রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচিতে আমাকে ডাকা হয় না বা জানানো হয় না। বিষয়টি ইতোপূর্বে উত্তর জেলার আহ্বায়ক দেওয়ান শহিদুল্লাহকে জানিয়েছি। তিনি গুরুত্ব দেননি। এ কারণে দল থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেই।
Comments
Post a Comment