এইমাত্র পাওয়া: ৩০০ আরোহী সহ বিমানের ইঞ্জিনে আগুন!
গ্রিসের করফু থেকে শনিবার (১৬ আগস্ট) রাতে উড্ডয়নের পরপরই একটি বোয়িং ৭৫৭-৩০০ বিমানে থাকা প্রায় ৩০০ আরোহী এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। জার্মান স্বল্পমূল্যের বিমান সংস্থা কনডর পরিচালিত এ বিমানের ডান দিকের ইঞ্জিনে হঠাৎ আগুন ধরে যায় বলে সোমবার (১৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বিমানটিতে ২৭৩ জন যাত্রী ও আটজন ক্রু ছিলেন। দুশেলডরফগামী এ ফ্লাইটটি এক ঘণ্টার মধ্যে ইতালির ব্রিন্দিসি শহরে জরুরি অবতরণ করে।
এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ১৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ডান পাশের ফিউজলাজ থেকে আতশবাজির মতো ঝলক বের হচ্ছে, যা পুরো ১৫ সেকেন্ড ধরে চলতে থাকে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায় বিমানটি সম্ভবত এক ঝাঁক পাখির মধ্য দিয়ে উড়ে যাচ্ছে। বিমানবিষয়ক সংবাদমাধ্যম এফএল৩৬০ এয়ারো জানায়, সন্দেহ করা হচ্ছে, পাখির আঘাতের কারণেই ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ইঞ্জিনে আগুন ধরার পর পাইলট প্রথমে করফুতে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। পরে এক ইঞ্জিন চালু রেখে ব্রিন্দিসিতে নামানোর সিদ্ধান্ত নেন।
কনডর যাত্রীদের অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। ব্রিন্দিসি শহরে পর্যাপ্ত হোটেল না থাকায় যাত্রীদের রাতটি বিমানবন্দরে কাটাতে হয়। পরের দিন তাদের দুশেলডরফে পাঠানো হয়।
এর আগেও একাধিকবার উড়ন্ত অবস্থায় বোয়িং বিমানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ডেল্টা এয়ারলাইনসের একটি লস অ্যাঞ্জেলেস-আটলান্টা ফ্লাইটে একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়া চলতি বছরের ১২ জুন ভারতের আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়নের কয়েক সেকেন্ড পরই এয়ার ইন্ডিয়ার একটি লন্ডনগামী বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানে থাকা ২৭২ জনের মধ্যে একজন ছাড়া সবাই নিহত হন। মাটিতেও প্রাণ হারান আরো ১৯ জন। দুর্ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে।
Comments
Post a Comment